পূজা ও মডারেশনের গল্প || মাওলানা মারজান আহমদ চৌধুরী

 


পূজা ও মডারেশনের গল্প

মাওলানা মারজান আহমদ চৌধুরী 

------------------------------------------------------------------------

আল্লামা ফুলতলী (রহ.) একটি গল্প শুনিয়েছিলেন। ব্রিটিশ আমলে আইন করা হয়েপূজা ও মডারেশনের গল্প


আল্লামা ফুলতলী (রহ.) একটি গল্প শুনিয়েছিলেন। ব্রিটিশ আমলে আইন করা হয়েছিল যে, কেউ রাস্তার পাশে পেশাব করতে পারবে না। আইন করার মাত্র কদিন পর এক লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেশাব করছিল। পুলিশ তাকে ধরল। নিয়ে গেল আদালতে। বিচারক জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নতুন আইন জানো না? ব্যক্তি বলল, জানি। “তাইলে কেন পেশাব করলে?” বিচারক জিজ্ঞেস করলেন। ব্যক্তি বলল, “জনাব, আমি দেখলাম পুলিশ ওখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করছে। তাই ভাবলাম আইন মনে হয় রহিত হয়ে গেছে।” বিচারক তদন্ত করে দেখলেন, ওই জায়গায় দু'জন মানুষের পেশাব করার চিহ্ন লেগে আছে!


ভবিষ্যতে আলিম-উলামা যতবার সাধারণ মানুষকে পূজায় যেতে বারণ করবেন, মানুষ জবাব দেবে, “দাড়ি-টুপি পরা, ইসলামের নামে ভোট চাওয়া হুজুরদেরকে আমরা পূজায় যেতে দেখেছি। তাই আমরা ভাবছি, ‘পূজায় যাওয়া হারাম’ এই আইনটি মনে হয় রহিত হয়ে গেছে।”


পূজায় যেতে নিষেধ করার অর্থ এই নয় যে, আমরা হিন্দু বা অন্য কোনো ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতি মানুষ হিসেবে বিদ্বেষ পোষণ করি। এমনটি মোটেও নয়। আমাদের দেশে প্রত্যেক মুসলমানের অন্তত দু-তিনজন পরিচিত হিন্দু সহপাঠী, বন্ধু, শিক্ষক, সহকর্মী আছেন। তাদের সাথে সামাজিক সুসম্পর্ক, ব্যবসা বা একসাথে ভালো কাজ করতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে ইসলামের কিছু রেডলাইন আছে, যা একজন মুসলিম কখনও ক্রস করতে পারে না। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে আল্লাহর একত্ববাদ, অন্যটি হচ্ছে রাসূল ﷺ এর ইজ্জত। যে স্থান, যে কাজ, যে পরিবেশে এ দুটি রেডলাইনে পা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেখানে একজন মুসলমানকে থেমে যেতে হবে। এর নাম গায়রাত, এর নাম ঈমান। 


শাহবাগী মুসলমানরা যেমন তাদের বাঙালিয়ানার স্বীকৃতির জন্য কলকাতার বাবুদের দয়াদৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে, ইদানিং কিছু ইসলামপন্থী নিজেদেরকে ‘মডারেট-ইনক্লুসিভ’ সাজানোর জন্য সেই পথই ধরেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে ভক্তরা এসে কমেন্ট করছেন, “এর নাম হেকমত, আমাদের নেতার কথার মর্মার্থ বুঝা আপনার পক্ষে সম্ভব না, আপনি হিংসুক৷” মনে হচ্ছে নেতারা যেন মিশরের হায়ারোগ্লিফিক্সে বক্তৃতা দিচ্ছেন৷ নিজের ভক্ত ছাড়া আর কেউ ওসব কথার মর্মার্থ বুঝবে না! তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, যারা পূজায় যাওয়ার বিরোধিতা করছেন, সবাই হিংসুক। কিন্তু, হিংসুক হওয়াটাও এতবড় রেডলাইন নয়, যত বড় রেডলাইন হচ্ছে শিরকের কেন্দ্রে/কাজে শামিল হওয়া। 


এভাবে মডারেট হয়ে ‘দ্বীন কায়িম’ করা তো দুরের কথা, ওই সেক্যুলার-লিবারেল-শাহবাগী পাড়ার চারটা ভোট পাওয়াও সম্ভব নয়। উল্টো আগামী প্রজন্মের জন্য আপনারা শিরকি কাজকে নরমালাইজ করে দিচ্ছেন। ভেবে দেখবেন কথাটি।ছিল যে, কেউ রাস্তার পাশে পেশাব করতে পারবে না। আইন করার মাত্র কদিন পর এক লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেশাব করছিল। পুলিশ তাকে ধরল। নিয়ে গেল আদালতে। বিচারক জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নতুন আইন জানো না? ব্যক্তি বলল, জানি। “তাইলে কেন পেশাব করলে?” বিচারক জিজ্ঞেস করলেন। ব্যক্তি বলল, “জনাব, আমি দেখলাম পুলিশ ওখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করছে। তাই ভাবলাম আইন মনে হয় রহিত হয়ে গেছে।” বিচারক তদন্ত করে দেখলেন, ওই জায়গায় দু'জন মানুষের পেশাব করার চিহ্ন লেগে আছে!


ভবিষ্যতে আলিম-উলামা যতবার সাধারণ মানুষকে পূজায় যেতে বারণ করবেন, মানুষ জবাব দেবে, “দাড়ি-টুপি পরা, ইসলামের নামে ভোট চাওয়া হুজুরদেরকে আমরা পূজায় যেতে দেখেছি। তাই আমরা ভাবছি, ‘পূজায় যাওয়া হারাম’ এই আইনটি মনে হয় রহিত হয়ে গেছে।”


পূজায় যেতে নিষেধ করার অর্থ এই নয় যে, আমরা হিন্দু বা অন্য কোনো ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতি মানুষ হিসেবে বিদ্বেষ পোষণ করি। এমনটি মোটেও নয়। আমাদের দেশে প্রত্যেক মুসলমানের অন্তত দু-তিনজন পরিচিত হিন্দু সহপাঠী, বন্ধু, শিক্ষক, সহকর্মী আছেন। তাদের সাথে সামাজিক সুসম্পর্ক, ব্যবসা বা একসাথে ভালো কাজ করতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে ইসলামের কিছু রেডলাইন আছে, যা একজন মুসলিম কখনও ক্রস করতে পারে না। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে আল্লাহর একত্ববাদ, অন্যটি হচ্ছে রাসূল ﷺ এর ইজ্জত। যে স্থান, যে কাজ, যে পরিবেশে এ দুটি রেডলাইনে পা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেখানে একজন মুসলমানকে থেমে যেতে হবে। এর নাম গায়রাত, এর নাম ঈমান। 


শাহবাগী মুসলমানরা যেমন তাদের বাঙালিয়ানার স্বীকৃতির জন্য কলকাতার বাবুদের দয়াদৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে, ইদানিং কিছু ইসলামপন্থী নিজেদেরকে ‘মডারেট-ইনক্লুসিভ’ সাজানোর জন্য সেই পথই ধরেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে ভক্তরা এসে কমেন্ট করছেন, “এর নাম হেকমত, আমাদের নেতার কথার মর্মার্থ বুঝা আপনার পক্ষে সম্ভব না, আপনি হিংসুক৷” মনে হচ্ছে নেতারা যেন মিশরের হায়ারোগ্লিফিক্সে বক্তৃতা দিচ্ছেন৷ নিজের ভক্ত ছাড়া আর কেউ ওসব কথার মর্মার্থ বুঝবে না! তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, যারা পূজায় যাওয়ার বিরোধিতা করছেন, সবাই হিংসুক। কিন্তু, হিংসুক হওয়াটাও এতবড় রেডলাইন নয়, যত বড় রেডলাইন হচ্ছে শিরকের কেন্দ্রে/কাজে শামিল হওয়া। 


এভাবে মডারেট হয়ে ‘দ্বীন কায়িম’ করা তো দুরের কথা, ওই সেক্যুলার-লিবারেল-শাহবাগী পাড়ার চারটা ভোট পাওয়াও সম্ভব নয়। উল্টো আগামী প্রজন্মের জন্য আপনারা শিরকি কাজকে নরমালাইজ করে দিচ্ছেন। ভেবে দেখবেন কথাটি।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post